Skip to content

গাপ্পি মাছের খাবার, প্রজনন ও একুরিয়াম সাজানোর নিয়মসহ বিস্তারিত জানুন

গাপ্পি মাছের খাবার

সূচিপত্র

গাপ্পি মাছের সাধারণ পরিচিতি

রঙিন মাছের জগতে গাপ্পি সর্বাধিক জনপ্রিয় ও পরিচিত মাছ।অ্যাকুরিয়াম ফিস হিসেবে বহুল ব্যবহৃত এ মাছটির আদিনিবাস দক্ষিণ আমেরিকা । এরা মূলত মিষ্টি পানির মাছ। এজন্য গাপ্পি মাছের খাবার ও সহজসাধ্য ভাবেই তৈরী করা যায় আবার বাজার থেকেও কেনা যায়। বর্তমান সময়ে গাপ্পি মাছের প্রায় ৩০০ টির মতো জাত পাওয়া যায়, যার প্রত্যেকটি জাতের শরীর ও লেজের আকার,আকৃতি এবং রং ভিন্ন। এসব ভিন্নতার কারণেই শুধু গাপ্পি মাছ দিয়েই একটি একুরিয়ামকে সুন্দর রং এ সাজানো সম্ভব যা গাপ্পি কে এনে দিয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা।
মাত্রাধিক প্রজনন হারের জন্য এরা মিলিয়ন’স মাছ এবং রঙের বৈচিত্র্যময়তার জন্য রেইনবো মাছ নামেও এরা বিশ্বব্যাপী পরিচিত।এরা ২ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে বাচতে পারে তবে নিবিড় পরিচর্যার দ্বারা ২.৫/৩ বছরও বাঁচিয়ে রাখা যায়

গাপ্পি মাছ এর নামকরণ

১৮৫৯ সালে ভেনেজুয়েলায় জার্মান প্রকৃতিবিদ উইলহেম পিটার্স (Wilhelm Peters) গাপ্পিদের প্রথমেPoecilia reticulataনামে অভিহিত করেন।তারপর ১৮৬১ সালে বার্বাডোস এ ইতালিয়ান ডাক্তার ও প্রাণিবিজ্ঞানী ডি ফিলিপ্পি (De Filippi) গাপ্পিকেLebistes poecilioidesনামে অভিহিত করেন।পরবর্তীতে জার্মান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রাণিবিজ্ঞানী, ইকথিয়োলোজিস্ট এবং হারপিটোলোজিস্ট এ্যালবার্ট গুনথার ( Albert Günther) গাপ্পিকে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত প্রকৃতিবিদ রবার্ট গাপ্পি (Robert John Lechmere Guppy) এর নামানুসারে Girardinus guppii    নামে ঘোষণা করেন, কেননা রবার্ট গাপ্পিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি এই মাছটিকে ত্রিনিদাদে আবিষ্কার করেন এবং এর নমুনা লন্ডনে অবস্থিত “ন্যাচারাল হিস্টোরি মিউজিয়াম ” এ প্রেরণ করেন।পরবর্তীতে এর বৈজ্ঞানিক নামের পরিবর্তন আসলেও আলবার্টের দেয়া গাপ্পি নামটি সংক্ষিপ্ত নাম হিসেবে প্রচলিত রয়ে যায়।

গাপ্পি মাছ এর জাতসমূহ

সারা বিশ্বে গাপ্পি মাছ এর প্রায় ৩০০ টি জাত পাওয়া যায় যা সময়ের সাথে বাড়ছেই।তবে সহজলভ্য ও অধিক সুন্দর জাতগুলি হলো স্নেক স্কিন গাপ্পি, গ্রাস গাপ্পি, রেড ট্যাক্সিডো গাপ্পি, কোবরা গাপ্পি, হোয়াইট গাপ্পি, রেড আই গাপ্পি, ব্লু গাপ্পি, রেড গাপ্পি, ইয়েলো গাপ্পি, কোরাল রেড গাপ্পি, সোর্ড টেল গাপ্পি, রাউন্ড টেল গাপ্পি, পার্পেল গাপ্পি, এন্ডলার গাপ্পি, গ্রীন গাপ্পি, ব্ল্যাক গাপ্পি, ব্রোঞ্জ গাপ্পি ইত্যাদি।

বিভিন্ন জাতের গাপ্পি মাছ
ছবিঃ বিভিন্ন জাতের গাপ্পি মাছ

বিভিন্ন জাতের গাপ্পি মাছের দাম ও চেনার উপায় না জানলে এখনই জানার জন্য

গাপ্পি মাছ এর বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস

Kingdom: Animalia
  Phylum: Chordata
    Class: Actinopterygii
      Order: Cyprinodontiformes
        Family: Poeciliidae
          Genus: Poecilia
            Species: Poecilia reticulata

গাপ্পি মাছের স্বভাব ও বাসস্থান

গাপ্পি একটি ট্রপিক্যাল আবহাওয়ার মাছ অর্থাৎ গ্রীস্মমন্ডলীয় বা উষ্ণ আবহাওয়ার মাছ।গাপ্পি সুরিনাম, অ্যান্টিগুয়া, গায়ানা, বার্বাডোস, বারবুডা, ত্রিনিদাদ, টোবাগো এবং ভেনেজুয়েলার স্থানীয় মাছ হিসবে পরিচিত।তবে মশার জন্মহার নিয়ন্ত্রণের (ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমানোর জন্য) জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে একে নিয়ে যাওয়া হয় কেননা এটি মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে।এরা লার্ভার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশী মাছের ফ্রাই এমনকি নিজের বাচ্চাদেরও খেয়ে ফেলে তাই এটিকে অ্যাকুরিয়ামের সৌন্দর্যবর্ধক মাছ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।এরা সবসময় দলবদ্ধ থাকতো পছন্দ করে এবং শান্তিপ্রিয় স্বভাবের মাছ।এরা দিনের বেশীরভাগ সময় সাঁতার কাটতে থাকে এমনকি এ মাছের ফ্রাই ও একেকটি সক্রিয় সাঁতারু।  

গাপ্পি মাছের আকার

গাপ্পির পুরুষরা (মেল) সাধারণত ১.৫-৩.৫  সেমি (০.৬-১.৪ ইঞ্চি) লম্বা হয় এবং মহিলারা (ফিমেল) ৩-৬ সেমি (১.২-২.৪ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়।
তবে সিলেকটিভ ব্রিডিং বা নির্বাচনী প্রজননের মাধ্যমে গাপ্পির শরীর ও লেজের আকার,আকৃতি এবং রং এ ভিন্নতা আনা যায়।এক্ষেত্রে আমরা উদাহরণ হিসেবে আনতে পারি স্নেকস্কিন ও গ্রাস প্রজাতির গাপ্পিগুলো।

গাপ্পি মাছের খাবার
ছবিঃ গাপ্পি মাছ

গাপ্পি মাছের রং

গাপ্পি একটি রং বৈচিত্র্যময় মাছ তাই একে রেইনবো (রংধনু)  মাছ নামেও ডাকা হয়।এদের শরীর ও লেজে বাহারী রঙের উপস্থিতি লক্ষণীয়। সাধারণত গাপ্পির পিঠের উপরের অংশ এবং পিঠের উপরের ফিন বা পালকের রং অনেকটা হালকা রঙের হয় কিন্তু পিছনের অংশ ও লেজের অংশের রং খুবই উজ্জ্বল এবং আকর্ষনীয় হয়।গাপ্পির অনেক প্রজাতি আবার ধাতব রং এর হয় যা আলোর প্রতিফলন করতে পারে। গাপ্পির মেয়ে মাছের তুলনায় ছেলে মাছের রং বেশী সুন্দর ও চমকপ্রদ হয়।

গাপ্পি মাছের লেজের আকৃতি ও প্যাটার্ণ

গাপ্পির লেজ বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে যেমনঃ ফ্যান শেপড, ট্রায়াঙ্গুলার শেপড, ফ্ল্যাগ শেপড, স্পেড শেপড, রাউন্ডেড শেপড, স্পিয়ার শেপড, লায়ারটেইল শেপড, সোর্ড শেপড (ডাবল সোর্ড, টপ সোর্ড এবং বটম সোর্ড) ইত্যাদি।
প্যাটার্ণ বেশীরভাগই শরীরের রং এর উপর নির্ভরশীল অর্থাৎ শরীরের রং উজ্জল ও সুন্দর হলে প্যাটার্ণও সুন্দর আসে আবার অনেক সময় আসে ধূসর।যেমনঃ

কোবরা প্রজাতি

এরা ভার্টিকাল ব্যারিং এবং লেজ দেখতে গোলাপ আকৃতির হয়।

কৈ টক্সিডো

এদের শরীরের অগ্র ও পশ্চাৎ অংশদ্বয় দুটি আলাদা রঙের হয়।

লেস প্রজাতি

এদের শরীরে জালের ন্যায় প্যাটার্ণ বিদ্যমান।

স্নেকস্কিন প্রজাতি

এরা চেইন-লিংক প্যাটার্ণের এবং এদের লেজও গোলাপ আকৃতির হয়।

লেওপার্ড প্রজাতি

এদের চিতাবাঘের মতো ডোরাকাটা দাগ থাকে।

মোজাইক প্রজাতি

এদের দাগগুলা অনিয়মিত এবং প্রত্যেকটা দাগ থাকে সংযুক্ত।

গ্রাস প্রজাতি

এদের শরীরে ঘাসের মতো সূক্ষ সূক্ষ বিন্দু থাকে।

বর্তমানে বিভিন্ন জাতের গাপ্পি মাছ বাজারে পাওয়া যায়।তাই আপনি যদি গাপ্পি মাছের দাম না জেনে কিনতে যান তাহলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভবনা থেকেই যায়। সমস্যা নাই এখনই জানুন

গাপ্পি মাছের ছেলে ও মেয়ে জাত চেনার উপায়

গাপ্পি মাছের প্রজনন অঙ্গ না দেখেও এদের আলাদা করা যায় শুধু মাত্র এদের শরীরের আকার ও রং দেখে।

গাপ্পি মাছের ছেলে মেয়ে
ছবিঃ পুড়ুষ ও মহিলা গাপ্পি

ছেলে (মেল) গাপ্পি মাছ

এরা আকারে ছোট কিন্তু রঙবৈচিত্রময়তায় এরা এগিয়ে।এদের শরীর ও লেজের রং ফিমেল গাপ্পি থেকে বেশী সু্ন্দর।এদের লেজ ও পাখনাগুলো বড় ও ছড়ানো আকারের হয়।ছেলে গাপ্পির পায়ুপথের পাখনাকে গণোপোডিয়াম (gonopodium) বলে। এটা মেয়ে গাপ্পির চেয়ে আলাদা যা দেখতে লম্বা এবং চিকন।

মেয়ে (ফিমেল) গাপ্পি মাছ

এরা আকারে বড় হলেও এদের শরীরে রঙ তেমন থাকেনা। এদের পাখনা ও লেজ ছোট হয়।এদের রং অনেকটা ধূসর প্রকৃতির। মেয়ে গাপ্পির মলদ্বারের পেছনে একটি গাঢ় স্পট থাকে যা গ্রাভিড স্পট নামে পরিচিত এটি গর্ভাবস্থায় আরো বেশী গাঢ় হয়ে যায়।

গাপ্পি মাছের খাবার

গাপ্পি মাছ সর্বভুক (Omnivorous) অর্থাৎ এরা প্রাণী ও উদ্ভিদ উভয় ধরণের খাবারের উপর নির্ভর করে বেচে থাকতে পারে।যেমন জ্যান্ত কেঁচো , ডাফনিয়া, আর্টিমিয়া , মশার লার্ভা, অন্য মাছ ফ্রাই এমনকি নিজের ফ্রাই খেয়েও এরা বাঁচতে পারে আবার দানা খাবার ,ফ্লেক ফুড বা ফ্রিজ ড্রাই খাবার খেয়েও বাঁচতে পারে।এরা বিভিন্ন ধরণের খাবার খেতে পছন্দ করে তবে এদের খাবারের যে জিনিসটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো এদের খাবারে প্রোটিন (আমিষ) এর পরিমাণ বেশী রাখতে হবে।যেমনঃ আমিষ ৪০% ফ্যাট ৮% বাকীটা অন্যান্য।মাছের ভালো রঙ আনার জন্য মাঝেমাঝে অর্ধসিদ্ধ মটরশুঁটি, পুঁইশাক পাতা, লেটুস পাতা, শসা ওগাজর দেয়া ভালো। অনেক সময় মুরগির কলিজা ও ছোট চিংড়ির শুটকি সিদ্ধ করে ভর্তা বা ব্লেন্ড করে দেয়া যায়।পানি রোগমুক্ত রাখার জন্য সপ্তাহে একদিন রসুনের এক/দুটি কোয়া সিদ্ধ করে দিলে ভালো।
জীবন্ত টিউবিফেক্স ও কুচি করে দেয়া যায়।বাজারে প্যাকেটজাত বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায় যা মাছকে খাওয়াতে পারেন।
মাছকে প্রতিবেলা এক খাবার দেওয়ার চেয়ে ভিন্নতা আনা ভালো।তবে অতিরিক্ত খাবার দেয়া যাবেনা কেননা অতিরিক্ত খাবার দিলে আর তা নিচে জমলে পানি দূষিত হয়ে সব মাছ মারা যাবার সম্ভবনা বেশী থাকে।তাই দিনে একবার বা সর্বোচ্চ দুবার খাবার দেয়া যায়।ফ্রাই বা ছোট মাছের জন্য খাবার ব্লেন্ড বা গুড়ো করে দিতে হয়।
মাছকে সবসময়ই ফ্রেশ ও ভালোমানের খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন কখনো বাসি পঁচা খাবার দিবেননা তাহলে মাছ সব মারা যেতে পারে।

গাপ্পি মাছের খাবার যদি মানে খারাপ হয়,বাসি পচা হয়, একুরিয়ামের অবস্থা খারাপ হয় তবে গাপ্পি মাছের বিভিন্ন রোগ হয়।এসব রোগের লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ জানার জন্য পড়ুন…

বাচ্চা গাপ্পির মাছের খাবার

বাচ্চা গাপ্পি মাছের খাবার হিসেবে বাজারে বিভিন্ন ধরণের দানাদার খাবার পাওয়া যায় এগুলোকে মিহি গুড়ো করে সামান্য পরিমাণে অর্থাৎ বাচ্চার সংখ্যার অনুপাতে একুরিয়ামে দিতে হবে।এছাড়াও পুঁইশাক পাতা, লেটুস পাতা,মটরশুঁটির পাতা সিদ্ধ করে ব্লেন্ড করে দিলে কালারটা ভালো আসে।এক্ষেত্রে একুরিয়ামে গাপ্পি মাছের খাবার দেয়ার সময় মাথায় রাখতে হবে মাছ কতটুকু খেতে পারবে সেই হিসেবে খাবার দিবেন।গাপ্পি মাছের খাবার যাতে নিচে না জমে তাহলে একুরিয়ামের পরিবেশ নষ্ট হবে।

শখের অ্যাকুরিয়াম প্রস্তুতি

কম মাছ পালনের জন্য ছোট অ্যাকুরিয়াম বা জার ব্যবহার করা যেতে পারে।তবে বেশী মাছ পালনের জন্য আমি সাজেস্ট করবো ১০ গ্যালন বা ৩৮ লিটার পানি ধরে এমন বা এর চেয়ে বড় অ্যাকুরিয়াম বানাবেন।

একুরিয়াম সাজানো
ছবিঃ একুরিয়াম

গাপ্পি মাছের অ্যাকুরিয়াম সাজানোর জন্য নিচের বিষয় গুলা মাথায় রাখা জরুরি

১.অ্যাকুরিয়াম যে জায়গায় রাখবেন সেখানে যাতে সরাসরি সূর্যের আলো না পড়ে।
২.অ্যাকুরিয়ামের ৩/৪ ভাগ পানি দিবেন এবং তা মাছ ছাড়ার আগে ২/৩ দিন এমনি রেখে দিবেন যাতে পানির ক্যামিক্যাল প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়।
৩.ছেলে ও মেয়ে মাছের অনুপাত ১ঃ৩ হলে ভালো হয়।
৪.সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য রঙিন পাথর বা বালি দিবেননা কেননা রং এর ক্যামিক্যাল এর প্রভাবে মাছ মারা যেতে পারে।এমনকি সাধারণ পাথর না দেয়াটাও ভালো কেননা পাথরের দ্বারা মাছের লেজ থেঁতলে বা ছিড়ে যেতে পারে।
৫.প্লাস্টিকের গাছ দিবেননা। সম্ভব হলে জীবন্ত গাছ দিবেন তবে এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সানলাইট নিশ্চিত করবেন নাহলে গাছ মরে গিয়ে পানি দূষিত করে মাছের মৃত্যু ঘটাবে।
৬.ভালোমানের ফিল্টার বা এয়ার পাম্প লাগাবেন তবে এয়ার স্টোন নিশ্চিত করবেন নাহলে প্রবল ঢেউয়ের কারণে মাছের ক্ষতি হবে।

গাপ্পি মাছ এর প্রজনন এবং প্রজননের জন্য অ্যাকুরিয়াম কীভাবে প্রস্তুত করবেন তা জানতে

পড়ুন….

গাপ্পি মাছ এর অ্যাকুরিয়াম সঙ্গী

গাপ্পি মাছের লেজ অনেক নরম এবং পাতলা ধরণের হয় যা পাথরের ঘষা খেলের নষ্ট হয়ে যায়।তাই এদের সাথে এমন মাছ রাখা যাবেনা যেসব মাছ লেজ ঠোকরায় যেমন কার্প বা টাইগার বার্ব।গাপ্পি মাছ নিজেও যেমন ছোট তাই এদের সাথে ছোট আকারের মাছ রাখবেন যেমনঃ মলি,প্লাটি, টেট্রা,হারলি কুইন, পিকক রেইনবো সহ ছোট আকারের মাছগুলো।
গাপ্পি মাছের অ্যাকুরিয়ামে কখনোই প্যারট, কার্প,গেল্ড ফিশ, ফায়ার মাউথ,অ্যারাডাস,অস্কার, অ্যান্জেল, সিভোরাম, গ্রীন ট্যারর, সিক লিড ও জুয়েল সহ বড় আকার বা ঠোকরানো বা আক্রমণাত্নক স্বভাবের মাছ রাখবেননা।

গাপ্পি মাছের সাধারণ রোগসমূহ

গাপ্পি অন্যান্য অ্যাকুরিয়াম মাছের তুলনায় শক্তপোক্ত মাছ কিন্তু লেজ  বড় থাকার দরুণ বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগের শিকার হয় প্রায়শই। তবে এর মধ্যে অন্যতম হলো মাউথ ফাঙ্গাস, ড্রপসি, ইচ এবং ফিনরোট বা লেজ পচা রোগ।এসব রোগ হলে মাছের স্বাভাবিক জীবন ব্যাবস্থা ব্যাহত হয় এবং মাছ মারা যায়। এছাড়াও গাপ্পি মাছের খাবার বাসি পচা নষ্ট হলে গাপ্পি মাছের বিভিন্ন রোগ হয়।

এসব রোগের লক্ষণ, প্রতিকার এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ জানতে পড়ুন….

অ্যাকুরিয়ামে গাপ্পি মাছের যত্ন

তাপমাত্রা

পানির তাপমাত্রা হবে ২৭ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পিএইচ

পানির খরতা বা পিএইচ হবে ৭.২ থেকে ৭.৫।

এছাড়াও নির্দিষ্ট দিন (১০/১৫) পর পর ৩০/৪০% পানি পরিবর্তন করুন, অ্যাকুরিয়ামের পরিচর্যা করুন, মাছের উপর চাপ পড়ে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন, ভিন্ন ভিন্ন খাবার দিন, অতিরিক্ত খাবার দেয়া থেকে বিরত থকুন,নিচে জমা খাবার পরিষ্কার করুন। অধিক মাছ একসাথে রাখা থেকে বিরত থাকুন।

রেফারেন্স

গাপ্পি-উইকিপিডিয়াঅ্যাকুরিয়াম-উইকিপিডিয়া

আরোও পড়ুন


এ্যাকুয়ারিয়ামএ্যাকুয়ারিয়ামে গাপ্পি মাছের চাষগাপ্পিগাপ্পি মাছগাপ্পির জীবনগাপ্পির প্রজনন গাপ্পির রোগসমূহ মিক্স গাপ্পি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Home

Home

Home

Home

Home