Skip to content

বাংলাদেশের পাখি পরিচিতি ( পর্ব-০২)

বাংলাদেশের পাখি

বাংলাদেশের পাখি প্রায় ৬২০ প্রজাতির যাদের প্রত্যকের রয়েছে নিজস্বতা অর্থাৎ ভিন্ন ভিন্ন বাহ্যিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য । এর মাঝে ১৪৩ টি প্রজাতির পাখি বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় তাই এদের ‘অনিয়মিত’ পাখি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।বাকী ৪৭৭ প্রজাতির পাখি বাংলাদেশে নিয়মিত দেখতে পাওয়া যায়।এই ৪৭৭ প্রজাতির মাঝে ৩০১ টি প্রজাতি আবার বাংলাদেশের আবাসিক বা স্থায়ী পাখি। “বাংলাদেশের পাখি পরিচিতি ” শীর্ষক আলোচনায় আমরা বাংলাদেশের আবাসিক ও পরিযায়ী সকল পাখি নিয়ে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো।আজকের আলোচনায় বাংলাদেশের পাখি অর্থাৎ ভাত শলিক, গো শালিক, গাং শালিক, ঝুট শালিক, খুন্তিবক, গগন বেড়, রাজহাঁস, বালি হাঁস, বড়ি হাঁস, সাদা কাক এবং ছাইরঙা বক ইত্যাদি নিয়ে।

বাংলাদেশের পাখি অনেক বাজে ও দুষ্ট লোকেরা শিকার করে।আপনার সামনে এমন ঘটনা ঘটলে বাধা দিন এবং বাংলাদেশর পাখি সংরক্ষণ করুন। তাই আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হোক “বাংলাদেশের পাখি হোক বন্য ও উন্মুক্ত “

সূচিপত্র

ভাত শালিক

ভাত শালিক এমন একটি পাখি যা বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান ভারত, মায়ানমার প্রভৃতি দেশেও এই পাখিরা বাস করে। গাছের ফোকরে বা গাছের ডাল-পালার মধ্যে খড়কুটো বা ঐ জাতীয় জিনিষপত্র দিয়ে বাসা বানায়।

বৈশিষ্ট্য

  • ভাত শালিক মানুষের বসতির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে।
  • এরা আকারে বুলবুল বা কবুতরের মত।
  • ভাত শালিক দলবদ্ধ ও জোড়ায় জোড়ায় থাকতে পছন্দ করে।
  • বিপদে-আপদে দলবদ্ধভাবে প্রতিবাদ করে।
  • মিষ্টি ও কর্কশ দু’রকম স্বরেই চেঁচামেচি করতে পারে।
  • আম গাছ বা ঐ জাতীয় গাছে ঝাঁকে ঝাঁকে একসাথে থাকে।
  • ভাত শালিককে পোষ মানান যায় এবং কথাও শেখানো যায়।

চেনার উপায়

  • ভাত শালিক আকারে ২৩ সে.মি.হয়।
  • ভাত শালিকের গায়ের রং গাঢ় খয়েরী হলেও বুকের অংশে ছাই রঙের দেখা মিলে।
  • এদের ঠোঁট, পা এবং চোখের নিচে ও পাশে লোমহীন ও গাঢ় হলুদ চামড়া থাকে।
  • স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে প্রায় একই রকম।

ভাত শালিকের খাদ্যাভ্যাস

  • সব রকমের খাবারই এরা খেয়ে থাকে যেমন: পোকা-মাকড়, ফল-ফলাদি, ভাত, ধান, গম ইত্যাদি।

ভাত শালিকের প্রজনন

  • ভাত শালিকের প্রজননকাল মার্চ হতে জুন মাস পর্যন্ত।
  • এরা বছরে ১ থেকে ২ বার ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফোটায় পর্যন্ত ডিম পাড়ে।
  • এদের ডিম লম্বাটে ও খোসা শক্ত। ডিমের রং নীলচে সবুজ।
  • পুরুষ ও স্ত্রী দুজনেই ডিমে তা দেয়, বাচ্চা ফুটায় ও প্রতিপালন করে।

গো শালিক

বৈশিষ্ট্য

  • গো শালিক মানুষের বসতির কাছাকাছি এবং দলবদ্ধভাবে থাকতে ভালোবাসে ।
  • উঁচু জাতীয় গাছের ডালে খড়কুটো দিয়ে গোলাকার বাসা বানায়।
  • এদের গলার আওয়াজ মিষ্টি ।
  • গো শালিককে পোষ মানানো যায় ।

চেনার উপায়

  • গো শালিক আকারে প্রায় ২৩ সে.মি. হয় যা অনেক ভাত শালিক বা বুলবুলির মতো।
  • এর গায়ের রং সাদাকালো ও গাঢ় বাদামী রঙের পালক মিশ্রিত।
  • চোখের পাতা ও চোখের পাশে পালকহীন এবং হলদে কমলা রঙের চামড়া থাকে।
  • পা, ঠোঁট হালকা হলুদ।
  • মেয়ে এবং ছেলে পাখি দেখতে একই রকমের ।

গো শালিকের খাদ্যাভ্যাস

  • নানা ধরনের কীট পতঙ্গ, ময়লা আবর্জনা ও ফল এদের খাদ্য।

গো শালিকের প্রজনন

  • গো শালিকের প্রজননকাল মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত।
  • এসময়কালে স্ত্রী পাখিটি ০৪ থেকে ০৫ টি ডিম পাড়ে এবং বাচ্চা ফোটায়।
  • ডিমের রং হালকা নীল, চকচকে।

গাং শালিক

বৈশিষ্ট্য

  • বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ও পাকিস্তানে গাং শালিক পাওয়া যায়।
  • এরা নদী বা জলাশয়ের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে।
  • গাং শালিক দলবদ্ধভাবে বা জোড়ায় জোড়ায় থাকে।
  • পরিত্যক্ত বাড়ির দেয়ালের ফোকর ও নদীর পারে মাটির গর্তে এরা বাসা বানায়।

চেনার উপায়

  • গাং শালিক আকারে প্রায় ২১ সে.মি.।
  • গাং শালিকের শরীরে ধূসর বাদামী, সাদা ও কালো রঙের মিশ্রণ থাকে।
  • চোখের দিকটা হলুদ ও পালকহীন।
  • পা ও ঠোঁট ধূসর হলুদ ।

গাং শালিকের খাদ্যাভ্যাস

  • সব রকমের খাবারই এরা খেয়ে থাকে যেমন: পোকা-মাকড়, ফল-ফলাদি, ভাত, ধান, গম ইত্যাদি।

গাং শালিকের প্রজনন

  • মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত গাং শালিকের প্রজনন কাল ।
  • গর্তের ভিতর শুকনো খড়কুটা, পালক ইত্যাদি দিয়ে বাসা বানায় ৩ থেকে ৫টি ডিম পারে।
  • ডিমের রং সবুজে-নীল।

ঝুট শালিক

বৈশিষ্ট্য

  • ঝুট শালিক জঙ্গলের আশে পাশের লোকালয়ে থাকে।
  • এরা দলবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে।
  • অন্যান্য শালিকের মতো এরা সাহসী নয়।
  • এদের কন্ঠ মিষ্টি ও কর্কশ দুই রকমেই শোনা যায়।
  • উঁচু গাছের কাঠঠোকরার পরিত্যক্ত বাসা বা পুরানো বাড়ির দেয়ালের গর্তেও ঝুঁট শালিকরা বাসা বানায়।

চেনার উপায়

  • ঝুট শালিক আকারে প্রায় ২৩ সে.মি. যা ভাত শালিকের ন্যায়।
  • এদের গায়ের রঙ হয় লালচে ছাই।
  • ঠোঁট হলুদ এবং ঠোঁটের উপরে একগুচ্ছ লোম থাকে যে কারণে নাম হয়েছে ঝুট শালিক।
  • চোখ গোলাকার ও ছোট।
  • চোখের পাশে পালক ও ত্বক থাকেনা যা হলুদ রঙের হয়।
  • স্ত্রী-পুরুষ দেখতে একই রকম।

ঝুট শালিকের প্রজনন

  • ঝুট শালিক প্রায় সবরকম খাদ্যই খেয়ে থাকে।
  • বিভিন্ন রকমের ফল, বট, ছোট গোটা এবং ফুলের মধু ইত্যাদি প্রিয় খাদ্য।

ঝুট শালিকের প্রজনন

  • ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঝুট শালিকের প্রজননকাল।
  • এরা ০৩ থেকে ০৫ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।
  • ডিম লম্বাটে, চকচকে শক্ত খোসা । ডিমের রঙ ঘিয়ে সাদা থেকে সবুজে নীল ।

খুন্তিবক

বাংলাদেশ,ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, শ্রীলংকাতে এই পাখি দেখা যায়।

খুন্তিবকের বৈশিষ্ট্য

  • এই বকের ঠোট খুন্তির মতো চ্যাপ্টা বলে একে খুন্তিবক বলে ।
  • বিল, ঝিল, নদী ও খালে এদের দলবদ্ধ ভাবে বিচরণ করতে দেখা যায়।
  • নদী ও জলাশয়ের ধারের গাছে শুকনো চিকন গাছের ডালপালা, খড়কুটো দিয়ে বাসা বানায় ।
  • এরা খুব নীরবতা পছন্দ করে ।

খুন্তিবক চেনার উপায়

  • খুন্তিবক আকারে প্রায় ৬০ সে.মি. যা মাঝারি বকের মতো।
  • এদের শরীর তুষার সাদা রঙের হলেও প্রজননের সময়ে গলা ও বুকের মাঝে হলুদ পালক গজায়।
  • ঠোঁট লম্বা ও চ্যাপ্টা।
  • লম্বা পা কালো রঙের হয়।

খুন্তিবকের খাদ্যাভ্যাস

  • পোকামাকড়, শামুক, ব্যাঙ, ছোট মাছ প্রভৃতি এদের খাদ্য।

খুন্তিবকের প্রজনন

  • খুন্তিবকের প্রজননকাল জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত ।
  • ৩ থেকে ৪টি ডিম পাড়ে।

গগন বেড়

গগন বেড় বাংলাদেশে অতিথি পাখি হয়ে শীত মৌসুমে আসে। বাংলাদেশে পোষা যেসব পেলিক্যান পাওয়া যায় সেগুলি এদেরই পূর্ব-পুরুষ। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মায়ানমারেও এদের বসতি আছে।

বৈশিষ্ট্য

  • সাধারণত ঝিল, বিল, নদীর ধারে এরা বাসা বানায়।

গগন বেড় চেনার উপায়

  • গগন বেড় বা পেলিক্যান আকারে প্রায় ১৮৩ সে.মি.।
  • ঠোঁট লম্বা ও হলদে রঙের হয়।
  • শরীরের সামনের অংশে সাদা ও হালকা হলদে রঙের মিশ্রণ থাকে ।
  • পা হলদে রঙের হয়।
  • পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম।

গগন বেড়ের প্রজনন

  • গগন বেড়ের প্রজননকাল ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত।
  • এসময়ের মাঝে এরা বাসা বানায় এবং মাত্র ২টি ডিম পাড়ে।

রাজ হাঁস

গৃহপালিত রাজ হাঁসের মতোই দেখতে।রাজ হাঁস বাংলাদেশে শীতের অতিথি পাখি হয়ে আসে। বাংলাদেশ ছাড়াও, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা প্রভৃতি দেশেও শীতের সময় এদের দেখা যায়।

বৈশিষ্ট্য

  • রাজ হাঁস সবসময়ই দলবদ্ধভাবে থাকে।
  • এদের গলার স্বর বেশ উঁচু ও কর্কশ।
  • নদী, ঝিল, বিলে এদের দেখা যায়।
  • গ্রীষ্মকালে এরা লাদাখ অঞ্চলে শুকনো ঘাসপাতা দিয়ে সমতলে ঝোপঝাড়ে বাসা বানায় ।

চেনার উপায়

  • রাজ হাঁস আকারে ৮১ সে.মি. ।
  • খয়েরি ছাই ও সাদা রঙের মিশ্রিত এদের গায়ের রং।
  • ঠোঁট ময়লা হলুদ রঙের হয়।
  • পা হয় গোলাপি লাল রঙের।

রাজ হাঁসের খাদ্যাভ্যাস

  • কচি ঘাস ও শীতের শস্য এদের খাদ্য।

রাজ হাঁসের প্রজনন

  • ৩ থেকে ৫টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।

বালি হাঁস

বাংলাদেশের ঝিল, বিল ও জলজ অঞ্চলে বালি হাঁস দেখা যায়। হাঁস প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে ছোট হাঁস হচ্ছে এই বালি হাঁস ।বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তান, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকাতেও এরা বাস করে। বাংলাদেশে এরা অতিথি পাখি হয়ে আসে।

বৈশিষ্ট্য

  • বালি হাঁস সবসময়ই দলবদ্ধভাবে থাকে।
  • জলাশয় বা ঝিল বিলের ধারে গাছে শুকনো ঘাস, পালক ইত্যাদি দিয়ে বাসা বানায়।

চেনার উপায়

  • বালি হাঁস আকারে ৩৩ সে.মি. ।
  • এদের গায়ের রং সাদাকালো, ছাই, খয়েরি রঙে মিশানো।
  • পা ও ঠোঁট লম্বা হয়।
  • চোখ গোলাকার হয় ।

বালি হাঁসের খাদ্যাভ্যাস

  • নানা ধরনের জলজ উদ্ভিদ, ছোটমাছ, পোকামাকড় বালিহাঁসের খাদ্য।

বালি হাঁসের খাদ্যাভ্যাস

  • জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বালি হাঁসের প্রজননকাল ।
  • এরা ০৬ থেকে ১২টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।

বড়ি হাঁস

বড়ি হাঁস মূলত শীতের অতিথি পাখি হয়ে বাংলাদেশে আসে। নদী, ঝিল ও বিলে এদের দেখা যায়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমারেও দেখা যায়।

বৈশিষ্ট্য

  • বড়ি হাঁস সবসময় দলবদ্ধভাবে থাকে।
  • এরা শীতের সময় কৃষকের ফসলের ক্ষতি করে।
  • মাটিতে খড়কুটো বা ঘাসের মধ্যে বাসা বানায়।
  • এদের গলার স্বর রাজ হাঁসের চেয়ে একটু সুরেলা ।

চেনার উপায়

  • বড়ি হাঁস দেখতে গৃহপালিত রাজ হাঁসের মতো।
  • এরা আকারে প্রায় ৭৫ সে.মি.।
  • এদের মাথা থেকে গলা পর্যন্ত সাদা।
  • মাথার উপর কালো দাগ থাকে।
  • শরীর ছাই ও খয়েরি ডোরা কাটা।
  • ঠোঁট হলুদ রঙের হয়।
  • চোখ গোলাকার ও কালো রঙের হয়।
  • পায়ে হলুদ রঙ বিদ্যমান।
  • উড়ার সময় ডানার শেষভাগ কালো রং দেখায়।
  • স্ত্রী ও পুরুষ দেখতে প্রায় একই রকম।

বড়ি হাঁসের খাদ্যাভ্যাস

  • নানা ধরনের শস্য, কচি ঘাস, লতা-পাতা এদের খাদ্য।
  • সাধারণত এরা রাতের বেলায় খেয়ে থাকে।

বড়ি হাঁসের প্রজনন

  • এপ্রিল থেকে জুন মাস এদের প্রজননের সময়।
  • ৩ থেকে ৪টি ডিম পাড়ে।

সাদা কাক বা অন্জন

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, মায়ানমার প্রভৃতি দেশেও এরা বাস করে।

বৈশিষ্ট্য

  • সাদা কাক বা অন্জনকে সচরাচর অন্য বকদের মতো দেখা যায় না।
  • গাছের উঁচু ডালে খড়কুটো দিয়ে গোলাকার বাসা বানায়।
  • ঝিল, বিল, জলাশয়ে এদের দেখা মিলে।
  • এদের দলবদ্ধভাবে দেখা যায় না অর্থাৎ একা থাকতে পছন্দ করে।

চেনার উপায়

  • সাদা কাক বা অন্জন আকারে প্রায় ৯৮ সে.মি. যা সাধারণ বকের চেয়ে একটু বড়।
  • গায়ের রং ছাইধুসর ।
  • মাথা চিকন হয় এবং মাথার চাঁদির উপর পালক থাকে।
  • তীক্ষ্ণ, লম্বা হলুদ রঙের ঠোঁট।

সাদা কাক বা অন্জনের খাদ্যাভ্যাস

  • সাদা কাক শামুক, মাছ, ছোট সাপ, পোকামাকড় খেয়ে থাকে ।
  • এরা সকাল সন্ধ্যায় খাবারের সন্ধানে বের হয়।

সাদা কাকের প্রজনন

  • সাদা কাকের প্রজননকাল মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত।
  • এসময়ে এরা ডিম পাড়ে ও বাচ্চা ফোটায়।
  • ০৩ টি থেকে ০৬ টি পর্যন্ত ডিম পাড়ে।
  • পুরুষ ও স্ত্রী পাখি উভয়ে মিলে ডিমে তা দেয় এবং বাচ্চার যত্ন নেয়।

ছাইরঙা বক

ছাইরঙা বক বাংলাদেশে কম পাওয়া গেলেও ভারত, নেপাল, ভুটান এবং মায়ানমারে এর বিচরণ লক্ষ্য করার মতো।

ছাই রঙা বকের বৈশিষ্ট্য

  • মাঝারি ধরনের গাছের ডালে শুকনো ডালপালা দিয়ে গোলাকার বাসা বানায় ।

ছাইরঙা বক চেনার উপায়

  • ছাইরঙা বক দেখতে সাদা কাকের (Grey Heron) চেয়ে একটু বড়।
  • এরা আকারে ১২৭ সেন্টিমিটার হয়।
  • সমস্ত শরীর ছাই রঙা হলেও বুকের নিচে হালকা সাদা রঙ দেখা যায়।
  • লম্বা ঠোঁটে হলদে কালো রঙের মিশ্রণ দেখা যায়।
  • চোখ গোলাকার ও হলুদ রঙের হয়।
  • পা লম্বা ও কালো হয়।

ছাই রঙা বকের খাদ্যাভ্যাস

  • এদের খাদ্যাভ্যাস অন্যান্য বকের মতো।
  • ছোট মাছ, পোকা-মাকড় ইত্যাদি এদের খাদ্য।
  • ছাই রঙা বকের প্রজনন- এই বকের প্রজননকাল এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত।
  • ২ থেকে ৩টি ডিম পাড়ে।

আরোও পড়ুন

০১. বাংলাদেশের পাখি পরিচিতি (পর্ব-০১)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *