রাসেল’স ভাইপার সাপ
- সাপ শব্দটি শুনলে কে না ভয় পায়। শব্দটা শোনার সাথে সাথেই মনে হয় এই বুঝি সামনেই একটা সাপ ফণা তুলে দাঁড়িয়ে হিসহিস করছে। সব সাপ কিন্তু আবার ফণা তুলতে পারে না। এমনই একটি সাপ হল রাসেল’স ভাইপার সাপ।রাসেল’স ভাইপার সাপ যা গ্রাম বংলায় চন্দ্রবোড়া নামে পরিচিত | অন্যতম সুন্দর সাপেদের একটি হলো রাসেল’স ভাইপার সাপ |পৃথিবীতে দুই ধরনের সাপ বিদ্যমান।
- বিষধর
- বিষহীন বা নির্বিষ।
- তবে কিছু বিষাক্ত সাপও আছে। বিষধর এবং বিষাক্ত এর মধ্যে অনেক পার্থক্য বিদ্যমান।
- রাসেল’স ভাইপার সাপ (চন্দ্রবোড়া) পৃথিবীর অন্যতম সবচেয়ে বিষধর সাপ।
রাসেল’স ভাইপার সাপের বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস
Kingdom: Animalia
Phylum: Chordata
Class: Reptilia
Order: Squamata
Suborder: Serpentes
Family: Viperidae
Genus: Daboia
Species: Daboia russelii
রাসেল’স ভাইপার সাপ চেনার উপায়
- চন্দ্রবোড়ার দেহ মোটাসোটা, লেজ ছোট ও সরু।
- প্রাপ্তবয়স্ক সাপের দেহের দৈর্ঘ্য সাধারণত এক মিটার যা সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১.৮ মিটার পর্যন্ত পাওয়া গেছে ।
- মাথা ত্রিকোণাকার, চ্যাপ্টা এবং এর গায়ের রঙ হলদে বাদামি।
- সারা দেহে কালচে রঙের রিঙ থাকে।
- রাসেল’স ভাইপার সাপের বিষদাঁত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃহৎ।
আরোও পড়ুনঃ সামুদ্রিক মারাত্মক বিষধর সাপ ইয়েলো বেলিড সী স্নেক
রাসেল’স ভাইপার সাপের প্রাপ্তিস্থান
- রাসেল’স ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা, চীনের দক্ষিণাংশ, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, বার্মা ও ইন্দোনেশিয়ায় পাওয়া যায়।
- চন্দ্রবোড়া পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দুর্লভ আবাসিক সাপ। এখন প্রায় সব অঞ্চলেই এই সাপের বিস্তার হচ্ছে।
- বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে রাজশাহী অঞ্চলে এ সাপ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। তবে সাভার, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, যশোর, সাতক্ষিরাসহ মোটামুটি সারা দেশেই অতি সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে।
- ভারতে বিশেষ করে নদীয়া, বর্ধমান ও উত্তর চব্বিশ পরগনা অঞ্চলে এ সাপ বেশি পাওয়া যায়। তবে ভারতেও এই বিষধর সাপ তার বংশবৃদ্ধি করেই চলেছে।

চন্দ্রবোড়ার স্বভাব
- রাসেল’স ভাইপার একটি অলস ও ভারী প্রকৃতির সাপ, তাই দ্রুত চলাচল করে ধাওয়া করা এদের পক্ষে সম্ভব নয়।
- ভয় পেলে এরা ‘s’ লুপের আকৃতি ধারণ করে , শরীরের উপর এক তৃতীয়ংশ উঁচু করে রাখে।
- এসময় তারা উচ্চঃস্বরে হিস্ হিস্ শব্দ করতে থাকে।
- এরা প্রচণ্ড জোরে হিস হিস শব্দ করতে পারে। এদের খুব কাছে গেলে তবেই এরা কামড় দেয়।
- চন্দ্রবোড়া সাপ খুব দ্রুত ছোবল মারতে পারে এবং নিজের দেহের তিনভাগের দুইভাগ পর্যন্ত লাফ দিয়ে কামড় দিতে পারে।
- দ্রুত চলার ক্ষমতা নেই বলেই বিষের তীব্রতা আর দ্রুত ছোবলের এডাপটেশন হয়েছে ইভোলিউশন এর মাধ্যমে। হার্পেটোলজিস্ট দের মতবাদ এইটাই।
- মাত্র ১ সেকেন্ডের ১/১৬ ভাগ সময়ে কাউকে কামড়ে বিষ ঢালতে পারে।তাই ক্ষিপ্রতার দিক দিয়ে রাসেল’স ভাইপার সাপ প্রথম।
- আঘাতপ্রাপ্ত না হলে রাসেল’স ভাইপার সাপ কখনো কামড় দেয়না।
রাসেল’স ভাইপার সাপের শিকার পদ্ধতি
- রাসেল’স ভাইপার সাপ একটি নিশাচর সাপ তাই চিকার ধরার জন্য সাধারণত রাতের বেলায় বের হয়।
- রাসেল’স ভাইপার এম্বুশ ইটার অর্থাৎ এরা শিকারের জন্য এক জায়গায় কুন্ডলী পাকিয়ে অপেক্ষা করে। শিকার কাছে আসলেই ছোবল দিয়ে ছেড়ে দেয়।পরে শিকারকে অনুসরণ করে চলতে থাকে এবং মারা যাওয়ার পরে খেয়ে ফেলে। এরা সাধারণত এভাবেই শিকার করে।
- চন্দ্রবোড়া নিচু জমির ঘাসযুক্ত উন্মুক্ত এবং কিছুটা শুষ্ক পরিবেশে বাস করে। এরা খাদ্য হিসেবে ইঁদুর, ছোট পাখি, টিকটিকি ও ব্যাঙ ভক্ষণ করে।
- অন্যান্য সাপ শিকারের সময় শিকারকে কামড় দিয়ে সাথে সাথে খেয়ে ফেলে কিন্তু হিংস্র চন্দ্রবোড়ার শিকারকে শুধু একা নয়, তার পুরো পরিবারসহ খেতে ভালোবাসে।
- অন্যান্য সাপ যেখানে একটি ইঁদুরকে কামড় দিয়ে সাথে সাথে খেয়ে ফেলে, চন্দ্রবোড়া সে ক্ষেত্রে কামড় দিয়ে ছেড়ে দেয়। প্রচণ্ড বিষের যন্ত্রণায় ইঁদুর যখন তার গর্তের দিকে ছুটে চলে চন্দ্রবোড়া তার পিছু পিছু গিয়ে সে গর্তে ঢুকে সব ইঁদুরকে খেয়ে ফেলে।

রাসেল’স ভাইপার সাপের প্রজনন
- রাসেল’স ভাইপার সাপ ওভোভিভিপোরাস অর্থাৎ সরাসরি বাচ্চা সাপ জন্ম দেয়।
- এই সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি ২০ থেকে ৫০ টি বাচ্চা সাপ জন্ম দেয়।
- সর্বোচ্চ ৮০ টি বাচ্চা জন্ম দেওয়ার রেকর্ড আছে।
আরোও পড়ুনঃ পদ্ম গোখরা সাপের বিষক্রিয়া ও কামড়ালে করণীয়
রাসেল’স ভাইপার সাপের বিষের ধরন
রাসেল’স ভাইপার সাপের বিষ হেমাটোটক্সিন যা রক্তের কোষের উপর কাজ করে।
সাপের জন্য বিষের প্রয়োজনীয়তা
সাপের বিষ মূলত স্যালাইভা বা লালা গ্রন্থির নিঃসরন। এটি সাপের তিনটা কাজে লাগে।যথা-
১. প্রতিরক্ষা
২. খাদ্য পরিপাক
৩. শিকার
মানুষের শরীরে কিভাবে কাজ করে ?
- কোবরা,ক্রেইট এগুলোর বিষ নিউরোটক্সিন হলেও রাসেল’স ভাইপার সাপের বিষ হেমাটোটক্সিন যা রক্ত জমাট বাধিয়ে দেয়।
- রাসেল’স ভাইপার সাপ কামড়ালে ক্ষতস্হানে তেমন ব্যথা হয় না।আবার ফুলেও যায় না।
- কামড় দিলে মানুষের মাংস পচে যায়।
রাসেল’স ভাইপার সাপ এর বিষের তীব্রতা
- বিষের তীব্রতা মাপার মাপকাঠি হল Median Lethal Dose (LD50)। অর্থাৎ যে সংখ্যক প্রাণীর ওপর বিষ পরীক্ষা করা হচ্ছে, তাদের ৫০% প্রাণী মরতে কতটা বিষ প্রয়োজন। এই LD50 যে সাপের যত কম, তার বিষের তীব্রতা তত বেশি।
এখন LD50 মাপা যায় ৪ রকম ভাবে:
- Subcutaneous: বিষ চামড়ার নিচের চর্বি যুক্ত অংশে প্রবেশ করিয়ে।
- Intravenous: বিষ সরাসরি শিরায় প্রবেশ করিয়ে।
- Intramuscular: বিষ কোন মাংস পেশী তে প্রবেশ করিয়ে।
- Intraperitoneal: বিষ পেটে প্রবেশ করিয়ে।
- এর মধ্যে subcutaneous পদ্ধতিটি সব থেকে বেশি নির্ভরযোগ্য এবং এই পদ্ধতিতে মেপেই বিষের তীব্রতা সম্পর্কে সব থেকে বেশি তথ্য পাওয়া গেছে।
- এই পদ্ধতিতে মাপা বিষের তীব্রতা অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ ইনল্যান্ড টাইপান (Inland Taipan)। LD 50: 0.025 mg/kg। বাস: অস্ট্রেলিয়া।
- রাসেল’স ভাইপার সাপের LD 50= 0.75 mg/kg (subcutaneous)

রাসেল’স ভাইপার সাপ কামড়ালে করনীয়
- চন্দ্রবোড়া পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপগুলার একটি। এর এক ছোবলেই মৃত্যু নিশ্চিত যদি না আপনি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান।
- যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতাল যেমন জেলা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজে নিয়ে যেতে হবে। হাসপাতালে নিয়ে অ্যান্টিভেনম দিলেই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাবে।
- সাপে কাঁটা ব্যক্তিকে শান্তনা দিতে হবে এবং তাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। কারণ অনেকেই সাপে কাটার পর ভয়ে স্ট্রোক করে মারা যায়।
- রোগীকে ঘুমাতে দেওয়া যাবে না। সজাগ রাখতে হবে।
- আক্রান্ত স্হান নাড়াচাড়া করা যাবে না। নাড়াচাড়া করলে বিষ খুব দ্রুত দেহে ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতে রোগী অনেক কম সময় পাবে।
- সাপে কাটা ব্যক্তিকে কখনোই ওঝার কাছে নেওয়া যাবে না। ওঝারা কখনোই সাপের বিষ নামাতে পারে না। মুখ দিয়ে চুষে বা ক্ষতস্হান থেকে রক্ত বের করার মাধ্যমে সাপের বিষ বের করা সম্ভব না।
- রোগীকে ওঝার কাছে নিয়ে বা নিজে নিজে বিষ বের করার চেষ্টা করা মানে নিজের মৃত্যু নিজেই ডেকে আনা।
আরোও পড়ুনঃ কালাচ সাপ এর বিষক্রিয়া ও কামড়ালে করণীয়
রাসেল’স ভাইপার সাপ বা চন্দ্রবোড়া সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
- রাসেল’স ভাইপার সাপ মানুষ দেখলে দ্রুত চলে যায়না কারন এরা অলস ও ভারী প্রকৃতির সাপ, দ্রুত চলাচল করতেই পারেনা। ওদের চলার গতি ধীর।
- রাসেল’স ভাইপার সাপ বাংলাদেশে মহাবিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে তাই এই সাপ দেখলে না মেরে তাড়িয়ে দিন নাহয় রেস্কিউ টিম কে খবর দিন।
- বিষের তীব্রতার দিক দিয়ে সাপটি বিশ্বের ৫ নম্বর ভয়ংকর বিষধর সাপ।
- ক্ষিপ্রতার দিক দিয়ে
- সাপ বিশ্বের সকল সাপের মাঝে প্রথম স্থান অধিকার করে কেননা এটি ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ের মাঝে কাউকে কামড় দিয়ে বিষ ঢালতে পারে।
- বন্যার সময় ভারতের নদীর পানির সাথে ভেসে এসে অতী সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।একে থামানোর কেউ নেই।একে থামানোর কিং কোবরা,শাঁখামুটি নিজেরাই আজ বিলুপ্তপ্রায়।
- রাসেল’স ভাইপার সাপের সাপের যেমন ভয়াবয়তা আছে বাস্তুতন্ত্রে এর উপকারিতাও অনসীকার্য | এরা মূলত ইঁদুর ও অন্যান্য সাপ খেয়ে বাস্তুতন্ত্রের ভারসম্য রক্ষা করে | তাই এদের রক্ষা করাটাও আমাদের কর্তব্য |
রাসেল’স ভাইপার সম্পর্কে জনপ্রিয় কিছু ভুল ধারনা

- রাসেল’স ভাইপার সাপ দ্রুত ধাওয়া করে ছোবল মারতে সক্ষম যা একটি গুজব। কেননা এই সাপ একটি ধীরগতির সাপ।
- কামড় দিলেই মৃত্যু এমন নেতিবাচক ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে এটাও ঠিক নয়।দ্রুত সময়ের মাঝে হাসপাতালে নিলে কোনো ভয় নেই।
- রাসেলস ভাইপার সাপের এন্টিভেনম নাই – এটি একটি মিথ্যা গুন্জন।সদর হাসপাতাল বা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এর এন্টিভেনম পাওয়া যায়।
- রাসেল’স ভাইপার সাপ কে অনেকে কিলিং মেশিন বা হিংস্র বলে আখ্যা দেন, যা মেটেও সত্যি নয় এটি মানুষ দেখলে ভয়ে হিস হিস করে।খুব কাছে না গেলে এটি মানুষকে কামড়ায় না।
আরোও পড়ুনঃ মারাত্নক বিষধর সামুদ্রিক হলুদ পেটের সামুদ্রিক সাপ সম্পর্কে
সাপের কামড় থেকে রক্ষা পেতে আমাদের করনীয়
আপনার জীবনের মূল্য অনেক।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাপ মারতে গেলেও বিপদ হতে পারে কাজেই সাপ মারার চেয়ে কিভাবে বাড়িতে সাপের প্রবেশ বন্ধ করা যায় এবং সর্প দংশন এড়িয়ে চলা যায় সেই দিকে গুরুত্ব দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
- চরাঞ্চল ও নদীর অববাহিকায় গ্রামগুলোতে এই সাপের উপদ্রব বেশি দেখা যাচ্ছে।তাই এই অঞ্চলের বাড়িঘরের গর্ত ও আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার রাখতে হবে।
- সাপ ঘরে আসার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইদুর। সাপের প্রিয় খাদ্যই হচ্ছে ইদুর। মাছ যেমন পানিকে অনুসরণ করে, সাপ তেমনি ফলো করে ইদুরকে। আর ঘরে ইদুর হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ঘর বাড়ি নোংরা রাখা। নোংরা ঘর বাড়ি ইদুরের বেহেশত। সুতরাং আপনার বাড়িতে এই দুই আন ওয়ান্টেড গেস্ট না চাইলে বাড়ি ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে।
- মাটির মেঝে হলে দেখতে হবে মেঝেতে কোনো গর্ত কিংবা ফাটল আছে কিনা। থাকলে সেগুলো ভাল করে বন্ধ করে দিতে হবে। সাপ নিজে গর্ত খুড়তে না পারলেও অন্যের খোড়া গর্তে আশ্রয় নিতে পছন্দ করে।
- গ্রামের বাড়িতে মূল বসত ঘরের পাশে মুরগীর ঘর, লাকড়ি ঘর, গোয়াল ঘর, গোলাঘর থাকে। বসত ঘরের চেয়ে এসব ঘরে সাপের আশ্রয় নেয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি।তাই এসব ঘরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
- বাড়ির আশপাশের আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বাড়ির বাগানেও আগাছা জন্মাতে দেবেন না। বাড়ির চারপাশে কোনো ডোবা বা অপরিষ্কার জলাশয় থাকলে তা পরিষ্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
- রাসেল’স ভাইপার সাপ কোথাও দেখতে পেলে আপনার পরিচিত স্নেক রেসকিউয়ার কে খবর দিন। নিজে নিজে সাপ ধরতে যাবেন না। মনে রাখবেন আপনার অসাবধানতায় এক ছোবলেই মৃত্যু হতে পারে।আবার সাপ হত্যাও করবেন না কেননা সাপ আমাদের ইকোসিস্টেমের জন্য অত্যন্ত দরকারি।
- রাসেলস ভাইপার কে কিভাবে রেসকিউ করা হয় নিচের ভিডিওতে দেখুন।
- অনেকে বলেন প্রকৃতিতে অবিষধর সাপ আছে তাই বিষধর সাপ দরকার নেই যা একটি ভুল ধারনা। দরকার না থাকলে তো বিষধর সাপ থাকতো না। বিষধর হোক আর নির্বিষ সব সাপই দরকার, সব প্রাণির দরকার পরোক্ষ হোক বা প্রত্যক্ষ।
রেফারেন্স
ছবিঃ রাসেল’স ভাইপার
আরোও পড়ুন

